গীবত থেকে বাঁচার উপায় হলো,এর কদর্যতা এবং মারাত্মক শাস্তি ও পরিণতির কথা মনের মধ্যে বসিয়ে নিয়ে এই পণ করবে যে,জীবনে কখনো কারো গীবত করবো না। অতঃপর বিনয়ের সাথে আল্লাহ পাকের দরবারে এই দুআ করবে যে, হে আল্লাহ!গীবতের এই মারাত্মক পাপ থেকে আমি বিরত থাকতে চাই। কিন্তু বন্ধু-বান্ধব ও আত্মীয় স্বজনের সাথে কথা বলতে গিয়ে গীবত করে ফেলি,হে আল্লাহ! আমি এ শপথ করছি যে,ভবিষ্যতে কখনো গীবত করব না;কিন্তু আমার এই শপথকে ঠিক রাখা এবং এর উপর প্রতিষ্ঠিত থাকা তোমার সাহায্য ও তৌফিক ব্যতীত সম্ভব নয়।হে আল্লাহ! তুমি নিজ অনুগ্রহে আমাকে গীবত থেকে বেঁচে থাকার সাহস,উৎসাহ ও তৌফিংক দান করো। আজই হিম্মত করে এ শপথ ও দুআ করুন।
রাসুলুল্লাহ (সা:) বলেছেন –
রাসুল বলেন গিবত বা পরনিন্দা ব্যভিচার থেকেও গুরুতর ও জঘন্য অপরাধ। সাহাবীরা বলেন, ‘হে আল্লাহর নবী গিবত কীভাবে ব্যভিচার অপেক্ষা অধিকতর গুরুতর অপরাধ হতে পারে?
রাসুলুল্লাহ (সা:) বলেন, ‘ব্যভিচার করার পর মানুষ যদি আল্লাহর নিকট কায়মনোবাক্যে তওবা করে আল্লাহ তাআলা তখন তওবা গ্রহন করেন। কিন্তু গিবতকারী ব্যক্তিকে যার গিবত করা হয়েছে তিনি ক্ষমা না করে; ততোক্ষণ পর্যন্ত আল্লাহ তাকে মাফ করবেন না।’ (মিশকাত শরীফ)।
গিবত থেকে বাঁচার জন্য বেশ কয়েকটি করনীয় বিষয় নিচে তুলে ধরা হইলঃ
১। হজরত মাওঃ থানবী (রহ.) বলেন,যদি কারও গিবত করে ফেললে যার গিবত করা হয়েছে তার কাছে গিয়ে বলবে যে, আমি আপনার ভুলবশত গিবত করে ফেলেছি। তাই আমাকে মাফ করে দিন।
২। অন্যের ব্যাপারে মুখে কিছু বলার আগে অবশ্যই আমকে ভাবতে হবে, যা তার সম্পর্কে বলতে যাচ্ছি তাতে আমার গোনাহ হবে না তো?
৩। অন্যের ব্যাপারে পারতপক্ষে খারাপ কিছু না বলাই ভাল, অন্যের ব্যপারে সব সময় ভালো ধারণা করা উচিৎ, অন্যথায় চুপ থাকাই ভাল।
ধন্যবাদ আপনাকে আমি আজ থেকে আমলটি করব ইনশাল্লাহ।
মাশাআল্লাহ